ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে আজ। দিনভর তেমন যাত্রী চাপ দেখা না গেলেও ইফতারির পড় বেড়েছে যাত্রী চাপ। এদিকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ার সাথে সাথে আসছে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ। তবে এসব অভিযোগ অস্বিকার করেছেন বাস কাউন্টারের পরিচালকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাভারের নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে ঈদযাত্রার এমন চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
জানা যায়, সাভার ও নবীনগরের শিল্পাঞ্চল ছুটি হয়েছে আজ। সন্ধ্যার পরেই বেড়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। তবে আসন সংকেটের পাশপাশি ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।
নবীনগর থেকে সাতক্ষীরাগামী এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, অনেক কষ্ট করে তিনি সাতক্ষীরা লাইন্সের একটি টিকেট সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু পূর্বে ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও বর্তমান ভাড়া নিয়েছে ১১০০ টাকা।
এসময় পাশ থেকে চুকনগরগামী আর এক যাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি রাসেল পরিবহন নামের একটি বাসে টিকেট কেটেছেন। ঈদের আগে ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও এখন তারা নিচ্ছে ১২০০ টাকা।
যশোরগামী আর এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, তিনি সপরিবারে যশোর যাচ্ছেন। ২৪০০ টাকা দিয়ে তিনি মামুন পরিবহণে দুটি টিকেট কেটেছেন। গাড়ি সাড়ে ৮ টায় কাউন্টারে পৌছানের কথা থাকলেও কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে ওই বাস আসতে দেরি হবে। তাকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পেছনে সিট দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক সময়ে এ রুটে ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও এখন প্রতি টিকেট ১২০০ টাকা করে কেটেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়াই রাখছেন। তবে ঈদ উপলক্ষে ৫০ টাকা বকশিশ হিসেবে রাখছেন। মহাসড়কে আজ তেমন যানজট নেই।
আই/এ