পাবনার বেড়া উপজেলার পৌর এলাকার শেখপাড়ায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি গোলজার হোসেন (৫০) নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি অভিযুক্তের বাড়িঘরে ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে অভিযুক্ত কে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সন্ধা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি বিক্ষোভ করে থানা ঘেরাও করে। অভিযুক্ত গোলজার হোসেন বেড়া শেখ পাড়া মহল্লার মৃত সুলতান শেখ এর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, শিশুটি ইফতারের আগ মূহূর্তে অভিযুক্তের বাড়ির পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় আশেপাশে কোন লোকজন না থাকায় শিশুটিকে দশ টাকার লোভ দেখিয়ে গোলজার তার বাড়ির একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তার বাবা মায়ের কাছে ঘটনা বললে পরিবারে লোকজন শিশুটিকে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসি অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শিশুর বাবা জানান, সন্ধ্যার পর তার মেয়ে এসে তাকে কোন কথা না বলে বারবার শরীরের নিচের অংশ আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছিল। পরে তিনি খেয়াল করলে তার মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানটি ছিলে গেছে এবং সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
বেড়া থানার ওসি জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এলাকাবাসির সহায়তায় অভিযুক্ত গোলজার হোসেনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে ঘটনার পর শিশুটির খোজ খবর নিতে পাবনা সদর হাসপাতালে ছুটে জান বিএনপির নেতা কর্মীরা। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্ম ইউনুছ আলী শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
আই/এ