বলিউডে ‘ক্যাসানোভা’ তকমা পেয়েছেন তিনি। একাধিক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তাই নানা কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে রণবীর কাপূরের দিকে। তবে সে সব কটাক্ষে কান দিতে নারাজ অভিনেতা। বরং নিজেকে স্বামী ও বাবা হিসেবে খুব ভালো মনে করেন তিনি। কারিনা কাপূরের অনুষ্ঠানে রণবীর নিজেই জানিয়েছিলেন, রাহার জন্মের আগে কীভাবে তিনি আলিয়ার পাশে ছিলেন। টানা এক সপ্তাহ আলিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন রণবীর। এই শুনে কারিনা আক্ষেপ করেছিলেন, সন্তান জন্ম দেয়ার সময় এক দিনও তার সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন না সাইফ।
রণবীর সম্পর্কে কারিনার তুতোভাই। কাপুর বংশের যে কোনও পার্টিতেই দুই দিদি বেবো এবং লোলোর সঙ্গে রণবীরকে বেশ খোশ মেজাজেই দেখা যায় প্রায়শই। করিনার সেই তুতোভাই রণবীরের সঙ্গেই আলিয়া বছর তিনেক ধরে সুখের ঘরকন্না করছেন। বলিপাড়ার দুই ফিল্মি পরিবার ভাট এবং কাপুররা রণবীর-আলিয়ার মাখোমাখো দাম্পত্য নিয়ে বেজায় খুশি।
রণবীর বলেছেন, “আমি ওর (আলিয়া) সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম। আমার বেশ ভালোই লাগছিল। সন্তান হওয়ার আগে আমি কাজ থেকে টানা দুই-তিন মাস ছুটি নিয়েছিলাম। টানা এক সপ্তাহ আমি ওর সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম।”
ভাইয়ের মুখে একথা শুনেই নিজের স্বামীর সঙ্গে তুলনা টানেন বেবো। অভিনেত্রী পালটা দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “তার মানে, তুমি খুব যত্নশীল স্বামী। মানে, এই যেমন সন্তানের জন্মের পর বউয়ের সঙ্গে হাসপাতালে থেকেছো। কিন্তু জেহ-তৈমুর হওয়ার সময়ে সইফ তো আমার সঙ্গে একটা রাতও হাসপাতালে কাটায়নি।”
ভাই-বোনের এহেন কথোপকথনের অংশই বর্তমানে নেটপাড়ায় ভাইরাল। যা দেখে নেটিজেনদের রসিকতা, ‘বেবো কি ভ্রাতৃবধূর প্রতি হিংসে প্রকাশ করলেন?’ আবার কারও প্রশ্ন, ‘রণবীর-আলিয়ার দাম্পত্য দেখে হিংসে হচ্ছে?’ বাস্তবে কিন্তু তেমনটা মোটেই নয়।
২০২২-এর নভেম্বর মাসে প্রথম সন্তান রাহা আসে আলিয়া ও রণবীরের জীবনে। সে বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তারা। অন্য দিকে, কারিনা ও সাইফের এই মুহূর্তে দুই সন্তান- তৈমুর ও জেহর মা-বাবা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কারিনা-সইফের কোলে আসে তৈমুর। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করে জেহ।
জেএইচ