বেশ কয়েক মাস ধরেই অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তীর দাম্পত্য জীবনে অশান্তির মধ্যে ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। যদিও প্রথমদিকে এ বিষয়ে কিছুই বলেননি তারা। অবশেষে পৃথা শনিবার (৫ এপ্রিল) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, “আমি আর সুদীপ দম্পতি নই। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন। তবে আমরা ভবিষ্যতে ভালো বন্ধু হয়ে থাকব।"
পৃথার এ ঘোষণার পর সুদীপ কিছুটা হতভম্ব হয়ে বলেন, "আমি তো শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই বুঝতে পারছি না এ কী ঘটল! পৃথা এই সিদ্ধান্ত কীভাবে নিয়েছে, আমি জানি না। তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, সম্পর্কের এই অপ্রত্যাশিত অবসান তার কাছে সম্পূর্ণ নতুন ও অজ্ঞাত ছিল।
এর আগে সুদীপের সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু সাদাকালো ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। যা তার দাম্পত্য জীবনে অস্থিরতা এবং বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। যদিও সুদীপ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বললেন, সব মানুষের জীবনেই সমস্যা আসে, আমিও এর ব্যতিক্রম নই। তবে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না।
যদিও বিচ্ছেদ ঘটেছে। তবে সুদীপ এবং পৃথা একসঙ্গে সন্তানদের নিয়ে একই ছাদের নিচে রয়েছেন। সম্প্রতি সুদীপ তার সন্তানদের জন্মদিন এবং পারিবারিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যা প্রমাণ করে যে তারা এখনও একসঙ্গে সন্তানদের দেখভাল করছেন।
সুদীপের দ্বিতীয় স্ত্রী পৃথা।যিনি একজন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী । সুদীপের প্রথম বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রী দামিনী বেণী বসুর সাথে, পরে সেটিও ভেঙে গিয়েছিল। পৃথা এবং সুদীপের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ছিল ২৫ বছর, যা পৃথার পরিবার মেনে নেয়নি। এরপরও তাদের সম্পর্কে সুখ ছিল। কিন্তু হঠাৎ কিভাবে সবকিছু বদলে গেল তা নিয়ে এখনো অনেকেই ভাবছেন।
এখন সুদীপ ও পৃথার ভক্তরা জানতে চাচ্ছেন, এই বিচ্ছেদের পেছনে আসল কারণ কি ছিল এবং ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্কের পরবর্তী অধ্যায় কি হতে চলেছে।
এসকে//