মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ তার অবস্থানে অটল রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, মানব পাচার সংক্রান্ত অপরাধ দমন করতে সরকার একটি শক্তিশালী আইনগত কাঠামো গড়ে তুলেছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সক্রিয় রাখা হয়েছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত বিমসটেক-এর মানবপাচারবিষয়ক তৃতীয় সাব-গ্রুপ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভুক্তভোগীদের সঠিকভাবে শনাক্ত করে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা দিতে সরকার একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করেছে, যা একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। একইসঙ্গে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
এসময় বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। এই লক্ষ্যে পারস্পরিক আইনি সহায়তা কাঠামো আরও বিস্তৃত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পাচারকারীরা ক্রমাগত কৌশল পাল্টাচ্ছে এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার করে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করছে। এই জটিল অপরাধের বিরুদ্ধে সফলভাবে লড়তে আঞ্চলিক পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।‘
তথ্য আদান-প্রদান এবং সফল উদ্যোগগুলো ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে বিমসটেক সদস্যদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে বিমসটেকের সাত সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন: বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান।
এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান এবং বিমসটেক সেক্রেটারিয়েটের পরিচালক প্রশান্ত চন্দ্র।
এমএ//