বলিউডে এক সময়ের রাজা-রাণী, শাহরুখ ও কাজল । যাদের রুপালি পর্দার রোমান্স পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে। তারা একে অপরের সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকমহলে ।
এবার তাদের সম্পর্কে একটি মজার এবং বেশ অস্বাভাবিক তথ্য উঠে এসেছে, যা পুরো বলিউডে হাস্যরোল তৈরি করেছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে এক সাক্ষাৎকারের যখন তাদের প্রশ্ন করা হয়, তারা কখনো একে অপরের সঙ্গে ডেটিং করতে চেয়েছিলেন কি না? তখন কাজল সোজাসাপটা উত্তর দেন, আমি সত্যিই জানি না। তবে আমি 'বাজিগর' সিনেমার শুটিংয়ের সময়েই অজয়ের সঙ্গে ছিলাম।
এটা শুনে শাহরুখ খান মুচকি হেসে বলেন, হ্যাঁ, আমিও তখন অজয়ের সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলাম! এই মন্তব্যে দর্শকরা হেসে ফেলেন। শাহরুখের এই হাস্যকর মন্তব্যে সবার মধ্যে এক অদ্ভুত মজা ছড়িয়ে যায়।
ভক্তদের মতে, কিং খান তো যেকোনো সময়ই মজা করতে পারেন । কিন্তু তার এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসা সত্যই দর্শকদের কাছে একটু অন্যরকম ভাবেই ধরা পড়েছে।
‘বাজিগার’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘কুছ কুছ হোতা হে’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমাগুলোতে তাদের রোমান্স আজও মানুষের মনে দাগ কেটে আছে।
১৯৯৯ সালে কাজল ও অজয় দেবগনের সম্পর্ক গাঢ় হয়েছিল । পরে সেই বছরই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা । তাদের সম্পর্ক ছিল সবসময়ই মধুর এবং শক্তিশালী। সত্তরের দশকের ‘রোমান্টিক জুটি’ হিসেবে তাদের সম্পর্ক দর্শকদের কাছে এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে।
‘বাজিগর’ সিনেমায় কাজল যখন শাহরুখের সঙ্গে রোমান্সের জন্য প্রস্তুত ছিলেন তখন বাস্তবে অজয় তার সঙ্গী ছিলেন এটাই ছিল তখনকার বাস্তবতা।
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে যদিও তারা পর্দায় একে অপরের সঙ্গে রোমান্স করেছিলেন।কিন্তু বাস্তব জীবনে তাদের সম্পর্ক একেবারে পেশাদারিত্বের ছিল । কাজল, শাহরুখ খান এবং অজয় দেবগনের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে তাদের মধ্যে সখ্যতা ছিল । এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্পর্কের প্রতি বাস্তবধর্মী মনোভাব।
কাজল-শাহরুখের সম্পর্কের মতো গৌরী-শাহরুখের সম্পর্কও বেশ মজবুত ছিল । যদিও ব্যক্তিগত জীবন তাদের আলাদা। তবে বলিউডে তাদের স্নেহপূর্ণ সম্পর্ক এবং একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে তারা শুধু পর্দার তারকা নয়, বরং ভালো বন্ধু ও সহকর্মী হিসেবেও অসাধারণ।
এবার এই নতুন খোলামেলা মন্তব্যের পর শাহরুখ-কাজলকে নিয়ে বলিউড প্রেমীদের মধ্যে এক নতুন রকমের আড্ডা শুরু হয়েছে। তাদের সম্পর্কের ‘টক অফ দ্য টাউন’ হয়ে ওঠা একেবারে অস্বাভাবিক নয় । কারণ তারা এত বছর পরেও একইভাবে একে অপরের সঙ্গে প্রফেশনালি এবং ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। আর এই মজার মন্তব্যের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি আস্থা এবং ভালোবাসা আরও প্রকাশিত হয়েছে।
এসকে//