৪ মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে নাকের নথ,পায়ের নুপুর, মোবাইল ফোন ও জুতা কিনলেন লাবনী আক্তার লিজা নামে এক মা। স্বামীর অভিযোগের পর পুলিশ ওই সন্তানকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে শিশুকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায় সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে স্থানীয় রবিউল ইসলামের সঙ্গে লাবনী আক্তার লিজার ২ বছর আগে বিয়ে হয়। এর আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতায় তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এর মধ্যেই গত ৪ মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, তার ছেলে জন্মের পর থেকে সংসারে শান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী তার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তার কয়েক দিন পর আবার ফোন করে তিনি বলেন তামিমের দাদা অসুস্থ। সে তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পর গত বৃহস্পতিবার সন্তান বিক্রি করে দেওয়ার খবর পাই। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত দেয়’।
লাবনী জানান, ‘আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় গত ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় আমার ছেলে তামিমকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে মোবাইল, পায়ের নুপুর ও নাকের নথ কিনছি। এইডা আমার ভুল হয়েছে। নিজ সন্তানকে বিক্রি করে আমি অনুতপ্ত’।
আই/এ
