রাজপরিবারের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। এবার সেই সংগ্রাম শেষ করে পুনরায় পরিবারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২ মে) বিবিসি নিউজকে দেওয়া এক আবেগপ্রবণ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব জানান। হ্যারি বলেন, লড়াই করতে চাই না, আমি পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই।
প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আমার বাবা (রাজা চার্লস) এখন আমার সঙ্গে কথা বলবেন না, কিন্তু আমি আর এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই না। তার বাবা রাজা চার্লসের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর হ্যারি বেশ উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, আমার বাবা কতদিন বাঁচবেন আমি জানি না। কিন্তু আমি চাই আমার পরিবারে শান্তি ফিরে আসুক।
২০১৯ সালে রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগান মার্কেল ও সন্তান আর্চিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিন্স হ্যারি। সেই থেকে তার জীবন একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে, যেখানে রাজকীয় দায়িত্ব এবং অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ ছিল মুখ্য। তবে তার পরিবারের সঙ্গে এক দীর্ঘ বিরোধের পর তিনি এখন ফিরে যেতে চান সেই ঘরে, যেখান থেকে একসময় তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
হ্যারি জানান, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মামলা করেছিলেন। সরকার তাকে রাজকীয় নিরাপত্তা প্রদান করতে রাজি ছিল না। কারণ তিনি আর রাজপরিবারের দায়িত্বে নেই। কেননা,সে এখন বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকি। প্রথমে হ্যারি মামলায় হারেন, পরে আপিল করার পরও আদালত তার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
হ্যারি আরও জানান, নিজের পরিবারের সঙ্গে বহু মতবিরোধের পর অনেক বিতর্ক ছিল, অনেক কথা ছিল, কিন্তু আমি এখন সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি শুধু চাই আমার পরিবারে শান্তি ফিরে আসুক।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্ত্রী মেগান এবং সন্তানকে রাজপরিবারে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না সেকথাও বলেছেন হ্যারি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছে তার ফলে পরিবারসহ নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফেরা ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে জানান তিনি।
এসকে//