বলিউডের আলো ঝলমলে জগতে তারকার প্রেম, বিচ্ছেদ ও বিয়ে যেন প্রতিদিনের গল্প। কিন্তু শাহিদ কাপুরের জীবনে ২০১৫ সালে ঘটে গিয়েছিল এক ঘটনা যা বলিউডের গ্ল্যামার জগৎকে অবাক করে। হঠাৎ করেই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মীরা রাজপুত নামের এক সাধারণ মেয়েকে। বয়সের ব্যবধান ১৪ বছর হলেও ভালোবাসা সেখানে পেছনে পড়েনি। বরং শুরু হয়েছিল এক অন্যরকমের প্রেম।
তখন শাহিদ বলিউডে সাফল্যের চূড়ায়। একের পর এক হিট ছবি, জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এর মাঝেই চুপিসারে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেন দিল্লির মেয়ে মীরা রাজপুতকে। মাত্র ২০ বছর বয়সে একজন বলিউড সুপারস্টারের ঘরনি হওয়ার যাত্রা কি এত সহজ ছিল?
সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে মীরা নিজেই জানিয়েছেন, শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। বিয়ের পরবর্তী দিনগুলোর মানসিক চাপ ও একাকীত্বের ছিল। সে বলে, বিয়ের পর আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। আমার বন্ধুরা তখন স্নাতকোত্তরে ব্যস্ত, কেউ কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমি তখন সংসারের দায়িত্বে বাঁধা পড়ে গেছি।
প্রথম দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে গিয়েছিল মীরার জন্য। সময়ের অভাব, নতুন জীবনের চাপে ধীরে ধীরে আলগা হয়ে যেতে থাকে বন্ধনের সুতো।
মীরার বন্ধুরা বলত ‘বিয়ে করে আমাদের ভুলে যাচ্ছিস!’ তখন মীরা বলত। সত্যিই, খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে সবকিছু। ২০১৬ সালে জন্ম নেয় কন্যাসন্তান মিশা, আর ২০১৮ সালে আসে পুত্র জায়ন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিপূর্ণ এক সংসার গড়ে উঠেছে । আজ ১০ বছর পেরিয়ে সুখেই দিন কাটছে শাহিদ-মীরার।
আরও বলেন, জীবন খুবই আকর্ষণীয়। এখন তার জীবন জুড়ে সন্তান, পরিবার, ঘুরে বেড়ানো আর ভালোবাসা। বন্ধুরা এখন বুঝতে পারে, কারণ ওরাও এখন সংসারী হয়েছে।
মীরা রাজপুতকে খুব একটা সিনেমার স্ক্রিনে দেখা যায় না। কিভাবে তারকা-জীবনের চাপে নিজেকে হারিয়ে না ফেলে, ব্যক্তিগত পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় সেটা হয়তো সে খুব ভালো করেই জানে। তাই তিনি বহু তরুণীর কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
এসকে//