রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নার্সিং কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) চালায়। রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এ ঘটন ঘটে। নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ নানা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পৃথক ব্যানারে আন্দোলন করে আসছে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক আলোচনাসভা চলাকালীন সময়ে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত হন। যারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। সেখানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি ও অশোভন আচরণের জেরে শুরু হয় উত্তেজনা। পরে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা বাইরে গেটে অবস্থান নেন এবং বিএসসি শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেয়। এসময় তারা গেট ভাংচুর করা হয় এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট ছোঁড়াছুঁড়ি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মতিয়ারা খাতুন বলেন, ‘ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা শেষ করে বিএ-এর সমমান চান। আর বিএসসি নার্স ও এর শিক্ষার্থীরা এটির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে দুপক্ষেরই টানা আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। এর জের ধরেই দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ শুরুর সময় আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা বলছেন, দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে তারা আন্দোলন নিয়ে কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। তখন হঠাৎ সেখানে এসে উপস্থিত হন বিএসসি ইন নার্সিংয়ের কিছু শিক্ষার্থী। তারা বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীদের তারা কটূক্তি করেন। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতাল থেকে কয়েকজন বিএসসি নার্সও এসে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। তারা গেট ভেঙ্গে কলেজে ভাংচুরও চালায়। ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাই ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরাও হাসপাতালে এসেছিল। তখন তারা ওয়ার্ডে যায়, আমার অফিসের দিকেও আসার চেষ্টা করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। দুপক্ষেই যারা যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের শাস্তি হবে।’
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘দুপক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে দুপক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। কিন্তু ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীরা আবার হাসপাতালে গিয়ে ঝামেলা করছিল। সেটাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’
আই/এ