সাভারের আশুলিয়ায় রাস্তার জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণে বাধা দেয়ায় ছাত্রদল নেতাসহ দুইজনকে পিটিয়ে জখম করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। আহতরা বর্তমানে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন, আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রহমান বিপ্লব এবং রিকশা চালক আবুল হোসেন। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হল খেজুরটেক এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন ওরফে শান্ত (৪৫) এবং মো. আব্দুল কুদ্দুস (৫০)।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের খেজুরটেক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খেজুরটেক বাজারের রাস্তার পাশের জায়গায় কিছুদিন আগে থেকে দোকান নির্মাণ শুরু করে স্থানীয় আবুল হোসেন শান্ত ও আব্দুল কুদ্দুস। শুরু থেকে এর বিরোধিতা করে আসছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু তারা দোকান নির্মাণ অব্যাহত রাখে। এতে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় বাজারে জ্যামের সৃষ্টি হয়। আজ সকালে জ্যাম লাগলে ভুক্তভোগী রিকশাচালক আবুল হোসেন ও ছাত্রদল নেতা বিপ্লব জ্যাম ছুটানোর চেষ্টা করার সময় শান্ত ও কুদ্দুসসহ কয়েকজন এসে তাদের লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তার গার্মেন্টস শুরু ও ছুটির পর যাত্রীর চাপ বাড়ে আর তাই এখানে জ্যামের সৃষ্টি হয়। আজকে সকালেও জ্যাম লাগলে তিনি জ্যাম ছোটানোর জন্য কাজ করতে থাকেন। এসময় রাস্তার পাশের মার্কেট নির্মানকাজ করতে থাকা আবুল এবং কুদ্দুস এসে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাতুরি ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে। এসময় তাকে বাঁচাতে এলে বিপ্লব ভাইকেও মারধর করে অভিযুক্তরা।
আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রহমান বিপ্লব বলেন, আবুল হোসেন শান্ত এবং কুদ্দুসরা আমাদের বাজারের মুল সড়কের পাশের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মান করছে। এটি নিয়ে এলাকাবাসী এর আগেও তাদের বাধা দিয়েছিলেন। আজকে সকালে সড়কটিতে জ্যাম লাগলে সড়কে চলাচলরত আবুল নামে এক রিকশা চালক গাড়ি থেকে নেমে জ্যাম নিরসনে কাজ করতে থাকলে অভিযুক্ত আবুল হোসেন শান্ত এবং কুদ্দুস হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাকে বেধড়ক মারতে থাকে। এসময় সে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে করা হয়।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আই/এ