৪ দফা দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) জুমার নামাজের পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে কাকড়াইল মোড়ে সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে বক্তারা ৪ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। তাঁরা বলেছেন, এই তিন দফা দাবি যৌক্তিক। অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত এ তিন দফা দাবি মেনে নেওয়া উচিত। দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের ঘোষণা যতক্ষণ না দেওয়া হবে, ততক্ষণ এ আন্দোলন চলবে। এ সময় বক্তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানান।
সংহতি জানিয়ে সাবেক শিক্ষার্থী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাসদ মার্ক্সবাদীর নেতা মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবি, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি সরকারকে মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি পুলিশের হামলার বিচার করতে হবে।
ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও জবি শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান বলেন, ৪ দফা দাবির সবগুলোই যৌক্তিক। এ দাবিগুলো আজকের নতুন কোনো দাবি নয়। অনেক দিন ধরেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় এসব দাবি জানিয়ে আসছেন। তাই দাবিগুলোর পুরোটাই মেনে নিতে হবে।
সাবেক শিক্ষার্থী ও পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহীন আহমেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দফা দাবি দ্রুত মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। নয়তো সাবেক-বর্তমান সব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আরও জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বক্তাদের বক্তব্যে শেষে বিভিন্ন বিপ্লবী গান সমবেত কণ্ঠে গাইছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো— ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, চার দফা দাবিতে তৃতীয়দিনের মতো আন্দোলন করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। তবে তারা আজ কাকরাইল মোড়ে বন্ধ করে আন্দোলন করছেন না। প্রধান উপদেষ্টার ভবনের যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
আই/এ