শিল্প উৎপাদনে সঠিকতা ও সূক্ষ্মতা নিশ্চিত করা এবং কৃষি, চিকিৎসা, বিদ্যুৎসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী অত্যাধুনিক পরিমাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিমাপে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও জাতীয় পরিমাপ নীতিমালা প্রয়োজন।
আজ মঙ্গলবার (২০মে) বিআইএম মিলনায়তনে পণ্যের জাতীয় মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত বিশ্ব পরিমাপ দিবস-২০২৫ (World Metrology Day) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
"Measurements for all times, for all people" অর্থাৎ ‘সর্বকালেই পরিমাপ সকলের জন্য' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এনডিসি এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই'র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই'র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম। অনুষ্ঠানে বিএসটিআই’র সাবেক মহাপরিচালক মো: মুয়াজ্জেম হোসাইন, মো: আব্দুস সাত্তারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এসিআই লিমিটেড, স্কয়ারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা । এ বছরে বিশ্ব পরিমাপ দিবসে ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩(তিন) জনকে ক্রেস্ট এবং আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপউপাচার্য বলেন, কৃষি, শিক্ষা এবং বিদ্যুৎখাতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী ১০ বছরের জন্য সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। এ ক্ষেত্রে মোট্রোলজির বেশ গুরুত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশ যেন বিদেশি পণ্যের ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত না হয়, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর, এনডিসি আশ্বস্ত করেন জাতীয় পরিমাপ নীতিমালা প্রণয়নে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিএসটিআই’র উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআই’র মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সম্বলিত লাইসেন্স প্রদান, পণ্যের হালাল সনদ প্রদান, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই করে সনদ প্রদান শুরু করেছে।