হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত দুদিনকে জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি একথা বলেন। বায়ান্ন টিভির পাঠকদের জন্য নুসরাত ফারিয়ার ওই পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘জীবনের সবচেয়ে মূমূর্ষ সময় পার করেছি এই দুইটা দিন। মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। তবে এই সময়টাতে যারা সর্বক্ষণ আমার পাশে ছিলেন সেসব মানুষদেরকে মন থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমার সহকর্মী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সবাই, এমনকী আপামর সাধারণ মানুষ যারা আমার হয়ে কথা বলেছেন, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন, পাশে থেকেছেন তাদের এই সাপোর্ট/ভালোবাসা আমি আজীবন মনে রাখবো। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারতাম না। বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের গণমাধ্যমকর্মীদেরকে, তাদের এই সাপোর্টটা ভীষণ দরকার ছিল। আমি সবসময় মনে রাখব আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসার কথা।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ছাড়া পান অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।
এর আগে, রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমানঅ
জামিনের আদেশের পর ফারিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, মামলায় যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে, সেই সময় নুসরাত দেশে ছিলেন না। পেশাগত কাজে তিনি কানাডায় ছিলেন। ১৪ আগস্ট দেশে ফেরেন এবং তার প্রমাণপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়ার পর বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গেলো সোমবার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তার আগের দিন রোববার সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এমআর//