জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদ ইসলামের বৈঠক

শেখ হাসিনার আমলে হওয়া সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা চায় এনসিপি

বায়ান্ন প্রতিবেদক

প্রধান উপদেষ্টার সৃ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নাহিদ ইসলাম ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে হওয়া সব জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন  আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শনিবার(২৪ মে) দিবাগ রাত সোয়া ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যমুনার সামনে  অবস্থানরত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম একথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিগত সময়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন করেছিল, যেখানে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। রাতের ভোট ও ডামি প্রার্থীর ভোট হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যেই সনদ আসতে পারে বা আসবে- এমন প্রত্যাশা আমাদের দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা ছিল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়।’

এনসিপি অহবায়ক আরও বলেন,‘দ্বিতীয়ত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন সেই শহিদদের পরিবার এবং আহত যারা হয়েছেন, তাদের যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া, সেটা ধীর গতিতে এগোচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর থেকে যে সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছিল সেই সঞ্চয়পত্র এখনো শহিদ পরিবার পায়নি। বেসিক ভাতা দেওয়ার কথা ছিল, সেই ভাতা দেওয়া এখনো শুরু হয়নি। আমরা বলেছি, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি ও সকল দাবি পূরণ করা হয়। আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসনের সেই দাবিগুলো যেন পূরণ করা হয়, সে বিষয়ে আমরা দাবি জানিয়েছি।’

এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘তৃতীয়ত, শেখ হাসিনার সময় হওয়া জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনকে আমরা অবৈধ ঘোষণা করতে বলেছি। সেই সময়ে শেখ হাসিনা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রয়োগ করেছিল এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। রাতে ভোট হয়েছে, ডামি প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। ফলে সেই নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ওই সময়ে বিরোধীদলগুলো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল। সুতরাং সেই নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবে যেন অবৈধ ঘোষণা করা হয়।’

এনসিপি আহবায়ক আরও বলেন, ‘এই তিনটির সম্মিলিত একটি পরিকল্পনা যাতে সরকার ঘোষণা করেন এবং আমাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার, সেটি দ্রুতই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব বলে আমরা জানিয়েছি।’

নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এছাড়াও আমরা বলেছি যে, এই ইলেকশন কমিশনের ওপর আমরা আস্থা রাখতে পারছি না। তাই ইলেকশন কমিশন পুনর্গঠন করে যাতে স্থানীয় সরকার ইলেকশন দ্রুত আয়োজন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা আহ্বান জানিয়েছি।’

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #এনসিপি