ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মুন্নি আজ (২৯ মে) বৃহস্পতিবার এই দন্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের নাম মাকসুদা আক্তার ও তাঁর দেবর সালাউদ্দিন। তারা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রায়ের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, মাকসুদার স্বামী মালেশিয়া প্রবাসী ছিলেন। তিনি কেরানীগঞ্জে এক ছেলে নিয়ে বাস করতেন। মফিজুর নামে এক ব্যাক্তি কেরানীগঞ্জে থাকতেন। তিনি স্বর্ণের ব্যবসার পাশাপাশি কবিরাজি করতেন। মাকসুদার একাধিকবার সন্তান মারা যায়। এ জন্য তিনি মফিজুরের কাছে চিকিৎসার জন্য যান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পারেন মাকসুদার প্রবাসী স্বামী। তিনি মুঠোফোনে মফিজুরকে এই সম্পর্ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর মফিজুরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মাকসুদা। তারপরও ভয়ভীতি দেখিয়ে মাকসুদার সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন মফিজুর। এতে ক্ষিপ্ত হন মাকসুদা। বিষয়টি নিয়ে তাঁর দেবর সালাউদ্দিনের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মফিজুরকে বাসায় দাওয়াত দেন মাকসুদা। মফিজুর বাসায় গেলে খাবার ও চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন মাকুসদা। খাওয়ার পর অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে মফিজুর। পরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মাকসুদা ও সালাউদ্দিন। এরপর লাশটি ১০ টুকরা করে বিভিন্নস্থানে ফেলে দেন।
এই ঘটনায় মফিজুরের ভাই বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাকসুদা ও সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ১৯ জনসাক্ষীকে আদালতে হাজির করে। আজ রায় ঘোষণা করলেন আদালত।