বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ার ও ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী জেলায় ১২৭৭ টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার উপকূলবর্তী উপজেলার অনেক গ্রাম এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা) থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৯-০৫-২০২৫ খ্রি. তারিখে অমাবস্যার জোয়ার ও বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর পটুয়াখালী জেলার সকল উপজেলা জোয়ার ও ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গিয়ে ঘর বাড়ি আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা ভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে বলা হয়-
জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ০৬টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ৬০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গলাচিপা উপজেলায় ০৪টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ৫২টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলায় ৪৬০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাউফল উপজেলায় ০৫টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ১০০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ০১জন মানুষ আহত হয়েছেন। দশমিনা উপজেলায় ১৫টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২৭০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ২০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুমকী উপজেলায় ৩০০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া উপকূল এলাকায় অনেক স্থানে বাঁধ ভেঙেছে। এখন পর্যন্ত রাঙাবালী উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল উপজেলা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মজিবর রহমান চৌধুরী বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে ট্রান্সফরমারসহ প্রায় ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং দেড় কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ছিঁড়ে গেছে।
আই/এ