ইউক্রেনের অতর্কিত আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত রাশিয়া। ড্রোন হামলায় মস্কোর ৪১টি বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে। এই হামলার পর বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার পাল্টা হামলা নিয়ে চলছে আলোচনা।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনের হামলার পর রুশ প্রতিশোধের মাত্রাটা বড় হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বা আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল।
বিভিন্ন সামরিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, রাশিয়ার কাছে বর্তমানে এসএস ২৭ টপল এম ও এসএস ২৭ ইয়ার্স নামের দুই ধরনের কৌশলগত আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে।
রাশিয়ার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের সংখ্যা ৩০৬টি। যা ১ হাজার ১৮৫ টি পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এসব মিসাইল ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার দুরুত্বে আঘাত হানতে পারে। আর এসব ঠেকানোর মত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনের কাছে নেই।
রোববারে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলার সাংকেতিক নাম ছিলো অপারেশন স্পাইডার’স ওয়েব। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মতে, দেড় বছর আগে থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করছিলো কিয়েভ। হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ২০০ টি ড্রোন। যার মাধ্যমে রাশিয়ার ৫টি বিমানঘাঁটিতে হামলা করা হয়।
রাশিয়ার যে ৪১ টির বেশি বোমারু বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো টিইউ-৯৫ ও টিইউ-২২ কৌশলগত বোমারু বিমান। এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইউক্রেনে হামলা করছিলো রাশিয়া।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে ড্রোনগুলো রাশিয়ার ভেতরে পাঠানো হয়। পরে ছোট কাঠের ঘর বা কাঠামোর ছাদের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। এ অবস্থাতেই ড্রোনগুলো ট্রাকে তোলা হয়েছিল। পরে রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে ড্রোনগুলো দিয়ে হামলা করা হয়।
ইউক্রেনের হামলায় বেশকিছু বিমান ধ্বংসের কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। আর কিয়েভের এই হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করে সময়মত জবাব দেয়ার হুশিয়ারী জানিয়েছে রুশ সরকার।
তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে সর্বশেষ গেলো নভেম্বরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলার অভিযোগ করে ইউক্রেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, নতুন ধরনের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনে হামলা করেছে তার সৈনিকরা।
এনএস/