ইরান ও ইসরাইলের চলমান সংঘর্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে তিনি পূর্ব থেকেই সচেতন ছিলেন। সংঘাত এড়াতে ইরানকে সুরক্ষিত রাখতে চেয়েছিলেন তিনি।
এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ট্রাম্প বলেন, আমি পরিস্থিতির আগাম ধারণা পেয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছিলাম ইরান যেন ধ্বংস, মৃত্যু ও লজ্জার মুখে না পড়ে। চেয়েছিলাম তারা যেন আলোচনায় বসে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তিনি সবসময় ইসরাইলের পাশে আছেন। তবে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়লেও তিনি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন।
এর আগে গেল ১৩ জুন ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ আরও আটটি শহরে হামলা চালায় ইসরাইলি বিমান বাহিনী। এই অভিযানে ৭৮ জন নিহত হন এবং আহত হন প্রায় ৩০০ জন। হতাহতদের মধ্যে ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক অবকাঠামো। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইরানের প্রায় ১০০টি স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযান শুরু হয়, যেখানে একজন নিহত ও ৪১ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একইদিন সকালে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি না থামানো পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে। ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ থামবে না।
পরদিন শনিবার সকালে ইরানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, যতক্ষণ না ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত’ হবে ততক্ষণ তারা এই অভিযান চালিয়ে যাবে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার করা হবে বলেও তারা জানান।
এসকে//