প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ‘অ্যারো ইন্টারসেপ্টর’-এর সংকটে পড়েছে ইসরায়েল। এমন তথ্য জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বুধবার (১৮ জুন) সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইরান থেকে নিক্ষিপ্ত দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার সক্ষমতায় ইসরাইল হুমকির মুখে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলের এই সংকট রয়েছে। বিষয়টি জানে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা প্রণালি বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের গোলাবারুদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) গেল রাতে তারা ইসরায়েলের দিকে ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ নিক্ষেপ করেছে।
বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, ‘তাদের শক্তিশালী ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল ভেঙে দেশটির আকাশের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করেছিলেন।
এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ইসরায়েল বিধ্বংসী’ বলে উল্লেখ করেছে আইআরজিসি। এটি উন্মোচনের সময় ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বিশাল ব্যানার ঝুলানো হয়েছিল। ওই ব্যানারে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল: ‘৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিবে।’
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গেল কয়েক ঘণ্টায় বিমান বাহিনীর ৫০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ইরানে হামলা করেছে। হামলায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র’ এবং ‘বেশ কয়েকটি অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র’ টার্গেট করা হয়েছে।
গেল ৫ দিনে ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলায় ইরানে ৫৮৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩২৬ জন।
অবশ্য ইরান সংঘাতের ঘটনায় নিয়মিত মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। গেল সোমবার সর্বশেষ প্রকাশ করা হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২২৪ জন। আহত হয়েছেন ১২৭৭ জন।