বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খান বর্তমানে তার জনপ্রিয় বাংলো ‘মন্নত’ সংস্কার কাজ করছেন। কিন্তু সম্প্রতি এ কাজ নিয়ে পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় অবস্থিত মন্নত বাংলোর সংস্কারের সময় উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ বিধি ও আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, মন্নতের অ্যানেক্স বিল্ডিংটি আরব সাগরের খুব কাছাকাছি নির্মিত হচ্ছে, যা উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, মুম্বাই পৌরসভা এবং বন দপ্তরের কর্মকর্তারা শুক্রবার (২১ জুন) মন্নত পরিদর্শনে যান। তারা জানিয়েছেন, তারা মন্নতের সংস্কার কাজের জন্য যথাযথ অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন এবং পরবর্তী সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।
তবে শাহরুখ খানের পরিবার অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (MCZMA) এর অনুমতি নিয়েই সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে এবং সব আইন-কানুন অনুসরণ করা হয়েছে।
এদিকে শাহরুখ খানের মন্নত বাংলো ১৯১৪ সালে নির্মিত হয় এবং এটি মুম্বাইয়ের ঐতিহ্যবাহী হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের মধ্যে একটি। বর্তমানে কিং খান তার স্ত্রী গৌরী খান এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এখানে বাস করছেন। মন্নতের সংস্কার কাজের মধ্যে এর অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের ওপর আরও দুটি তলা বাড়ানো হচ্ছে।
পরিবেশবিদরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কোস্টাল রেগুলেশন জোনের (CRZ) বিধিগুলো ভাঙা হয়েছে, যা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মুম্বাইয়ের পরিবেশকর্মী এবং সমাজকর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে মন্নতের অ্যানেক্স বিল্ডিংটি সাগরের খুব কাছাকাছি নির্মাণ করা হচ্ছে, যা উপকূলীয় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
এছাড়া আইপিএস কর্মকর্তা ওয়াই পি সিংও এই সংস্কার কাজে হেরিটেজ বিধি ভাঙার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, মন্নতের আট তলা করার জন্য অনুমতি ছিল। তবে বর্তমানে সেখানে ১২টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট তৈরির কাজ চলছে। এটি অনুমোদিত নয়।
তিনি আরও বলেন, মুম্বাই পুরসভা যদি সায় না দেয়, তবে এই কাজ অবৈধ হতে পারে।
এসকে//