মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, আমেরিকা কোন যুদ্ধে জড়াতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হয়। “প্রেসিডেন্টের এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। এটা সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ।” ইরানের ফোর্দো, নাটানজ ও ইসফাহান-এ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (২২জুন) সকালে এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এমন বক্তব্য দেয়ার সময় উপস্থিত জনতা “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” শ্লোগানে দিতে থাকে। হামলায় মার্কিন হামলায় ছয়টি ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করা হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হামলাকে “একটি সাহসী পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।”
ইরানের পারমাণবিক নিরাপত্তা কেন্দ্র জানিয়েছে, লক্ষ্যবস্তু স্থাপনাগুলোতে এখনো কোনও রেডিওঅ্যাকটিভ দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে। এই অপরাধের পরিণতি চিরস্থায়ী হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের উচিত এই বিপজ্জনক ও আইনবহির্ভূত তৎপরতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়ানো। আত্মরক্ষার অধিকার অনুযায়ী, ইরান নিজের সার্বভৌমত্ব, স্বার্থ ও জনগণকে রক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।”
অন্যদিকে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী, আইডিএফ সতর্কবার্তা জানিয়েছে, ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হতে পারে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল গেল ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করে। ওই অপারেশনে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়। এর জবাবে তেহরান শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রী’ নামক পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।