জাতীয়

মব বলছি না, এটি প্রেশার গ্রুপ : প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বলা হচ্ছে মব তৈরি হচ্ছে, আমি এটাকে মব বলছি না,বলছি প্রেশার গ্রুপ। সেটা তৈরি হচ্ছে আগের সাংবাদিকতার ব্যর্থতার কারণে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনাশীর্ষক সেমিনারে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, যিনি বা যারা মব করছেন সে তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এখন তার যে কনসার্নগত বছরের ২৮ জুলাই বাংলাদেশের শীর্ষ সাংবাদিকরা যে শেখ হাসিনাকে বলেছেন– ‘এদেরকে খুন করেন’, ‘পুলিশ কেন গুলি করছে না’, এরা তো শীর্ষ সাংবাদিক, শীর্ষ মিডিয়া হাউজের। এখন এই জিনিস তো আবারও পুনরাবৃত্তি হতে পারে। এই ভয় থেকে এই প্রেশার গ্রুপ তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন,  যারা আস্থার জায়গা নষ্ট করেছেন, তারা কিন্তু কেউ সেই কথা বলছেন না। নতুন রাজনৈতিক সরকারকে সামনে রেখে তারা আবারও তাদের খুঁটি সাজাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কোনও ধরনের কোনও উত্তরণ হবে না।

শফিকুল আলম বলেন,  কেউ যদি বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, এটা একদম ফালতু কথা। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এতই স্বাধীন, যে উন্নত বিশ্বেও এত স্বাধীনতা নেই। মানুষ এখন ভিডিও দেখে সংবাদ গ্রহণ করছে। এই ভিডিও বেশিরভাগই অলস সাংবাদিকতায় করা, মিথ্যায় ভরপুর। সারা দিন ধরে কিছু কিছু টকশোতে এরা মিথ্যা কথা বলছে। এটা অপসাংবাদিকতা হলেও এক ধরনের সাংবাদিকতা। এটা করার ফলে মানুষ পত্রিকা পড়ছে না

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, জার্নালিস্ট প্রটেকশন অর্ডিন্যান্স দরকার আছে। একই সময়ে আপনার অপসাংবাদিকতার দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের কীভাবে সুরক্ষা দেবেন। তার সুরক্ষাও তো আপনার চিন্তা করা উচিত

প্রেস সচিব বলেন, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা ভুল ছিল। কিন্তু কোনো সাংবাদিক বা প্রতিষ্ঠান কি বলতে পারবে, সচিবালয়ে সাংবাদিকের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে? প্রায় ৬০০ সাংবাদিক সচিবালয়ে প্রবেশের এক্সেস পেয়েছেন ।

তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা যাচ্ছেন, রিপোর্ট করছেন, আমরা তেমন কোনো কমপ্লেইন পাচ্ছি না। তবে এই কাজটা স্লো হয়ে গেছে। সবাইকে খুব দ্রুত অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, প্রেশার গ্রুপ সম্পর্কে মন্তব্য প্রেস সচিবের ব্যক্তিগত। এটি সরকারের অবস্থান না বলেও জানান তিনি।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #প্রেস সচিব