বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম শহীদ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে দেয়া চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন বেরোবির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা এ ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গণশুনানি কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াই এই চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া। ঢাকায় বসেই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা আবু সাইদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি পক্ষপাতদুষ্ট ও বিকৃত তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তারা শহীদ আবু সাঈদের সহপাঠী, আন্দোলনের সহযোদ্ধা কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেননি। এমনকি কোনো গণশুনানিও হয়নি।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলামকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। অথচ আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
শিক্ষার্থীরা তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নতুনভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত ও গণশুনানি আয়োজনসহ প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কী বলেছে, সেটা আমি এখনও জানি না। তবে চার্জশিট দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলাটা জরুরি ছিল বলে আমি মনে করি।’
শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘এই হত্যা মামলাটি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। আশা ছিল, আগামী ১৬ জুলাই ঘটনার এক বছরের মাথায় আমরা ভালো একটা ফলাফল পাবো। কিন্তু তদন্তে দফায় দফায় সময় বাড়ানোর পরও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াই প্রতিবেদন দাখিল করায় শঙ্কায় আছি, ন্যায় বিচার পাবো তো!’
আই/এ