দেশজুড়ে

যমুনার পানি বৃদ্ধি, তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

উজানের পাহাড়ি ঢল ও লাগাতার বর্ষণের প্রভাবে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েকদিনের তুলনায় গত তিন দিনে পানির গতি বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে জেলার অভ্যন্তরীণ ছোট নদ-নদীগুলোতেও পানি বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সিরাজগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে ৪১ সেন্টিমিটার এবং কাজীপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার। শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় নদীর পানির স্তর ছিল ১১ দশমিক ৩২ মিটার এবং মেঘাই ঘাটে ১৩ মিটার। যদিও এখনো দুই পয়েন্টেই পানি বিপদসীমার যথাক্রমে ১৫৮ ও ১৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটপিয়ারি ও কাজীপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, ভেটুয়া এবং খাসরাজবাড়ি এলাকার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বহু জমি। এসব এলাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ভাঙনের খবর মিলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাঙন অব্যাহত থাকলে জনপদ, রাস্তাঘাট এমনকি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হুমকিতে পড়তে পারে। ভাটপিয়ারি এলাকার বাসিন্দা শেখ মো. এনামুল হক জানান, ভাঙন অব্যাহত থাকলে প্রায় দুইশত পরিবার ভূমিহীন হয়ে যাবে এবং মসজিদ, মাদ্রাসা ঝুঁকির মুখে পড়বে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, "পানি বাড়ার প্রবণতা এখনো আছে, তবে উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে পানি বাড়ার হার ধীর হতে পারে।"

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন জানান, “যমুনার পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত বন্যার আশঙ্কা নেই। উজানে পানি কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

এদিকে, ফসলি জমি নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ। প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও আগাম প্রস্তুতির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #যমুনা #নদীভাঙন