অর্থনীতি

বন্দরের সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন গ্রহণযোগ্য না : অর্থ উপদেষ্টা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলন সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একটু লস হয়েছে, খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গতকাল আমি মিটিং করলাম অনেকক্ষণ। আজকেও কয়েকজন ব্যবসায়ী ফোন করে বলেছে অনেক লস হয়ে গেছে। এটা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের একটা সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া, বন্দরের সেবা বন্ধ রাখা, এটা কোনো যুক্তিতে গ্রহণযোগ্য না।

সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলন প্রত্যাহারে খুশি হয়েছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা ভালো করে কাজ করবেন। পক্ষপাতভাবে কাজ না করলে কারও কোনো সমস্যা হবে না। আমি চাই ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) ও অ্যাকাউন্টিবিলিটির (জবাবদিহিতা) সঙ্গে মানুষের সেবা করুক। সেখানে কারও সমস্যা হওয়ার কথা না। যারা সারাজীবন এভাবে কাজ করেছে, তাদের সমস্যা হতে দেখেছেন? যাদের কাজে বিচ্যুতি ঘটে তারাই জবাদিহিতার আওতায় আসে একদিন না একদিন।

আন্দোলনের বিষয়ে সাবেক এ গভর্নর বলেন,  আমাদের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ থাকতে পারে। আমি বহু আগে বলেছি। কিন্তু পোর্ট বন্ধ করে দেওয়া। এটা তো প্রাইভেট প্রপার্টি না। আমার সাধারণ কোন ফ্যাক্টরি আমি বন্ধ করে দিলাম, ব্যাপারটা এমন না। এটা সরকারের বা রাষ্ট্রের বিষয়। ইউ আর পেইড বাই দ্য গভমেন্ট। রাজস্ব আমি কোথা থেকে পাই, এটা বন্ধ করে দেওয়া যায় না। যাইহোক এখন জিনিসটা সলভ হয়েছে। আমি বলবো এটার সলিউশন ডিফিক্যাল্ট না। পাঁচজন উপদেষ্টা আছেন, তারা হিয়ারিং করে সলভ করবেন

তিনি বলেন,  আমার গভর্নর থাকাকালীন সময়ের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক তো চলতো সরকারের নির্দেশে, আদেশে। যারা গভর্নর ছিলেন, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। দু:খের সঙ্গে বলছি তারা (গভর্নররা) কিন্তু সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এখন কিন্তু সেটা নেই

আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকা এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এটি তার বিষয় নয়, তাই এ ব্যাপারে তিনি কোন উত্তর দেবেন না। সরকার থেকে তদন্তের বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।

আই/এ

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #অর্থ উপদেষ্টা