গাজীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে এক শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত গ্রীনল্যান্ড লিমিটেড নামে এক কারখানার ভেতরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। কারখানার অফিসে রশি দিয়ে বেঁধে ওই শ্রমিককে হত্যা করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গেল শনিবার (২৯ জুন) থেকে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গেল
নিহত শ্রমিকের নাম মো. হৃদয় (১৯)। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের শুকতার বাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে । মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রমিক হৃদয়কে কারখানার ভেতরে একটি অফিস কক্ষে জানালার সঙ্গে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে অচেতন অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে বের করা হচ্ছে। তাকে মারধর করছে কয়েকজন। তার মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। তাকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে হৃদয় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। তার এমন অবস্থা কেউ কেউ হাসছে। কয়েকজনকে বলতে শোনা গেছে- অনেক পেটানো হয়েছে। তারপরও কিছুই হয়নি, মরে যায়নি।
এ ঘটনায় হৃদয়ের বড়ভাই লিটন মিয়া গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় ২৮ জুন রাতে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ২৯ জুন হাসান মাহমুদ ওরফে মিঠুন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। মিঠু ওই কারখানারই শ্রমিক।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, হৃদয় গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর গ্রীনল্যান্ড লিমিটেড কারখানার মেকানিক্যাল মিস্ত্রি (অন কল) হিসাবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতোই ২৭ জুন সকালে কারখানায় যান। সেদিন কাজ শেষ করে বাসায় না ফেরায় নিহতের ভাই ও মা কারখানার দিকে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন হত্যার প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেছেন, ওই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আই/এ