গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্পেনের মানুষ। দেশটির রাজধানী মাদ্রিদসহ গোটা স্পেনজুড়ে একযোগে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশটির ২০০-রও বেশি স্থানে প্রতিবাদ হয়েছে। এই কর্মসূচিটির আয়োজন করে প্যারালাগুয়েররা ডট ইএস (Pararlaguerra.es) নামে একটি সংগঠন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শিল্পী সমাজ।
বিক্ষোভকারীলা গাজার শিশুদের ওপর মানবিক বিপর্যয়ের প্রতীকী চিত্রকর্ম প্রদর্শন করে। তাদের ব্যানারে লেখা ছিল 'গণহত্যার অবসান হোক' এবং 'বিভ্রান্ত করো না, এটা গণহত্যা।
অনেকে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কাইয়েদ হাম্মাদ। গেল ১ জুলাই গাজা থেকে স্পেনে পৌঁছেছেন তিনি। হাম্মাদ জানান, গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় তিনি নিজের ছেলেকে হারিয়েছেন।
হাম্মাদ বলেন, গাজায় একটি জাতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক গণহত্যা চলছে। যারা বোমায় মরে না। তারা মরে ক্ষুধায়, ওষুধের অভাবে, বা পানীয় জলের সংকটে। গাজা এখন বসবাসের অযোগ্য।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ও সামরিক সহায়তা করে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ এই হত্যাকাণ্ডে পরোক্ষভাবে যুক্ত’।
প্রতিবাদ সভায় স্প্যানিশ অভিনেতা পেপে ভিয়ুয়েলা বলেন, আমাদের চোখের সামনে সব ঘটছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অস্ত্র কখনও সমাধান নয়। নীরবতাও নয়।
শ্রমিক সংগঠন ইউএসও এর একজন প্রতিনিধি বলেন, “তারা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি চান। তিনি জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ফ্রানচেস্কা আলবানেজ-কে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার প্রস্তাব দেন। নোবেল পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর মতো প্রার্থীর সমালোচনা করেন।
এসময় আয়োজকরা জানান, ইতোমধ্যে ৩৫টি দেশের ৩০ হাজারেরও বেশী মানুষ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে। তারা একটি ঘোষণা-পত্রে স্বাক্ষর করেছে। স্পেনের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক পেদ্রো আলমোদোভার ও সংগীতশিল্পী আনা বেলেন-সহ বহু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এতে একাত্মতা জানিয়েছেন।