আন্তর্জাতিক

নদীতে মিললো নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মরদেহ

বায়ান্ন প্রতিবেদন

ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির সিগনেচার ব্রিজ থেকে নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর ইয়ামুনা নদী থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম ছাত্রীর  স্নেহা দেবনাথের (১৯)।  তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশ জানায়,গেল  ৭ জুলাই (সোমবার) স্নেহা একটি ট্যাক্সিক্যাবে সিগনেচার ব্রিজে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ছয় দিন ধরে তল্লাশির পর তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্নেহার কক্ষ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, পড়াশোনা নয় বরং, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি এক বন্ধুকে পাঠানো মেসেজ ও ইমেইলে কয়েক মাস ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কথাও জানিয়েছিলেন।

ট্যাক্সিচালক জানিয়েছেন, স্নেহাকে তিনি সেতুর ওপর নামিয়ে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্নেহাকে সেতুর রেলিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, এরপর হঠাৎ করেই তিনি উধাও হয়ে যান।

স্নেহাকে খুঁজতে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), দিল্লি পুলিশ ও অন্যান্য ইউনিট নিগম বোধ ঘাট থেকে নয়ডা পর্যন্ত ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়। শেষ পর্যন্ত ছয় দিন পর ইয়ামুনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্নেহার পরিবার ও বন্ধুরা অভিযোগ করেছেন, ব্রিজ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো কাজ করছিল না, যার কারণে অনুসন্ধানে দেরি হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখনো চলমান  এবং ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #দিল্লি #বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মরদেহ