ব্যায়াম আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত বা ভুলভাবে ব্যায়াম করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণ ও পদ্ধতিতে ব্যায়াম করা জরুরি।
অতিরিক্ত ব্যায়ামের ঝুঁকি
ওভারট্রেনিং সিনড্রোম (Overtraining Syndrome, OTS) এমন একটি অবস্থা, যা ঘটে যখন শরীর যথেষ্ট বিশ্রামের সুযোগ না পায়। এর ফলে দেখা দিতে পারে:
• মাংসপেশিতে ব্যথা ও ক্লান্তি
• ঘুমের সমস্যা
• মনোযোগের অভাব
• ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যাওয়া
• শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি
সূত্র: Cleveland Clinic, Mayo Clinic
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যায়ামের সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুনরুদ্ধারের সময় রাখা উচিত। যারা উচ্চ মানসিক চাপ বা হরমোনাল সমস্যা অনুভব করছেন, তাদের জন্য লো-ইনটেনসিটি ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম বা পিলাটিস উপকারী।
সূত্র: Marie Claire UK
সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম অথবা ৭৫ মিনিট উচ্চতর তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত। দৈনন্দিন জীবনে হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা এবং যোগব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
সূত্র: NHS UK
ব্যায়াম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। তবে সঠিক পরিমাণ ও পদ্ধতিতে করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত বা ভুলভাবে ব্যায়াম করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সঠিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সুস্থ, শক্তিশালী ও দীর্ঘজীবী থাকা সম্ভব।
এসকে//