টেকনাফের নাফনদী থেকে আবারও ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে ঝিমংখালী নাফনদী সংলগ্ন এলাকায় দুটি মাছ ধরার নৌকা থামিয়ে জেলেদের ধরে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আটক জেলেদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি ও চারজন রোহিঙ্গা।
জেলেরা জানান, ভোরে হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী নৌকায় ওঠে সবাইকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি ঘটে খুব দ্রুত। এতে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া স্থানীয় জেলেদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম আরাকান গ্লোবাল নেটওয়ার্ক দাবি করেছে, নিজেদের আঞ্চলিক জলসীমায় অনুমতি ছাড়া প্রবেশ ও অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে আরাকান কোস্টাল সিকিউরিটি ফোর্স পৃথক অভিযানে আরও ছয় বাংলাদেশিকে আটক করেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ এখনো প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে নাফনদী ও আশপাশের সীমান্ত এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ জেলেকে ধরেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অপহৃত হন ২০০ জেলে। বিজিবির হস্তক্ষেপে তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ফেরত এলেও এখনো ১০০ জন আরাকান আর্মির হাতে আটকা আছেন। জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, বারবার অপহরণ ও হামলার কারণে অনেকেই সাগরে মাছ ধরতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
আই/এ
