আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া

ছবি: সংগৃহীত

২০ দিনের প্রাণঘাতী সংঘাতের অবসান ঘটিয়া আবারও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। তিন দিন ধরে চলা আলোচনার পর শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর হয়। 

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ চলতি মাসে নতুন করে সংঘাতে রূপ নেয়। এতে গেল জুলাইয়ে হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়। সাম্প্রতিক এই সংঘাতে উভয় দেশের শতাধিক মানুষ নিহত হন এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। 

দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাক্ষরের পরপরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১২টা থেকে কার্যকর এই যুদ্ধবিরতির আওতায় সাধারণ নাগরিক, নাগরিক অবকাঠামো এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ থাকবে।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাথাফোন নারকফানিট এবং কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী টি সেইহা। এর মাধ্যমে প্রায় ২০ দিন ধরে চলা সংঘাতের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটে।

চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ৭২ ঘণ্টা পর থাইল্যান্ড আটক থাকা ১৮ জন কম্বোডিয়ান সৈন্যকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি উভয় দেশ উত্তেজনা বাড়াতে পারে—এমন যেকোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ ও মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পর্যবেক্ষক দল কাজ করবে। পাশাপাশি স্থলভাগে উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা সমাধানে উন্মুক্ত যোগাযোগ বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে দুই দেশ। মাইন অপসারণ ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়েও একমত হয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত আলোচনা শুরু হয়। তিন দিনের আলোচনা শেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মালয়েশিয়া নতুন করে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য উভয় দেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। গেল জুলাইয়ে এই তিন দেশের মধ্যস্থতায় পাঁচ দিনের সংঘাত থামাতে একটি যুদ্ধবিরতি হলেও তা স্থায়ী হয়নি।

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #থাইল্যান্ড #কম্বোডিয়া #যুদ্ধবিরতি