আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কুচবিহারে ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

কুচবিহারে ৭২ ঘণ্টা রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা ভোট চলাকালে সহিংসতায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় কোচবিহারে আগামী ৭২ পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারণা-প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার রাতে এ নির্দেশনা জারি করে দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘণ্টা কুচবিহারে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব প্রবেশ করতে পারবে না।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাজ্য নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনীতিবিদরাও রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের নীতিমালাও বদলে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম দফা ভোটের আগে ৪৮ নয়, ৭২ ঘণ্টা আগে গণসংযোগ শেষ করতে হবে।

শনিবার চতুর্থ ধাপে পাঁচ জেলার ৪৪ আসনে ভোট হয়। সকালেই শীতলকুচি এলাকায় দুইপক্ষের সহিংসতায় একজন নিহত হন। পরে দিনভর এলাকাটিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় আরও চারজন। এ ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা চলছে।

নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশ দিলেও আগামীকাল মাথাভাঙ্গা যাবার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি আহতদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কমিশনের নির্দেশের পর তাঁর কর্মসূচি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

কুচবিহারে নেতাকর্মীদের প্রবেশাধিকার ঠেকিয়ে মূলত মোদি প্রশাসন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকেই রক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোটের দিন ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ভুল বোঝাবুঝির কারণে প্রায় শ’ তিনেক গ্রামবাসী নিরাপত্তারক্ষীদের ঘিরে ধরে। এরপরই গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনার পরই শীতলখুচির বুথে ভোট নেওয়া বন্ধ করা হয়।

অবশ্য এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক বলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ঘটনার জন্য পুরোপুরিভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি। রাজ্য পুলিশের সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শনিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে পাঁচ জেলার মোট ৪৪ আসনের জন্য ভোট নেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, আলিপুরদুয়ার এবং কুচবিহার।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কুচবিহারে | ৭২ | ঘণ্টা | রাজনৈতিক | দলের | নেতৃত্বের | প্রবেশে | নিষেধাজ্ঞা