১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্পিনারদের কাছেই লুটিয়ে পড়লো বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৫ রান করতে সক্ষম হয় কোহলিরা। তাতে ৩৪ রানের জয় পায় পাঞ্জাব কিংস।
লোকেশ রাহুলের একক নৈপুন্যে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে দারুণ সংগ্রহ দাঁড় করায় পাঞ্জাব। সঙ্গে ছিল ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইলের ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।
কিন্তু পাঞ্জাবের বাকিরা তেমন রান করতে পারেননি। শুধু হাজিরা দিয়েছেন উইকেটে। নিকোলাস পুরান, দীপক হুদা কিংবা শাহরুখ খানরা ব্যস্ত ছিলেন উইকেটে আসা যাওয়ার মধ্যেই।
সতীর্থদের এমন ব্যর্থতার দিনে, লোকেশ রাহুলের ইউলো, রীতিমতো ঝড় তুলেছে। একদিকে দলের নেতৃত্ব, অন্যদিকে ম্যাচের ইনিংস উদ্বোধন; দুই ধরনের চাপ সামলাতে হয় তাকে। গত মৌসুমে দলের সিংহভাগ রান করেছেন তিনি। এবারও এখন পর্যন্ত আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারত জাতীয় দলের এই তারকা।
৫৭ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান তুলে পাঞ্জাব। একদিকে রাহুল আর অন্যদিকে গেইল ঝড় তুলেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৪৫ বলের ৮০ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। ২৪ বলে ৪৬ রান করা গেইলকে ফেরান ড্যানিয়েল সামস। ৬ চার ও ২ ছক্কা মারেন তিনি। তবে লোকেশকে ফেরাতে পারেনি কেউ। ৫৭ বলে সাত ৪ আর পাঁচটি ওভার বাউন্ডারিতে ৯১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি।
জবাবে, দলীয় শতরানের আগেই ৭ উইকেট হারায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট হাতে ব্যর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল-এবিডি ভিলিয়ার্সরা। বিরাট কোহলি ৩৫, রাজাত পাটিদা ৩১, হার্শাল প্যাটেল ৩১ এবং কাইল জেমিসন ১৬, ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ডাবল ফিগারে পৌঁছানো চার ব্যাটসম্যানের তালিকা। তাতে পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছে তাদের।
ভারত অনুর্ধ্ব-১৯ দলের লেগ স্পিনার রবি বিষ্ময় এবং হারপ্রিত বারার ঘূর্ণিতে রান তোলাই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় ব্যাঙ্গালুরুর জন্য। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন রবি। আর হারপ্রিত শিকার করেন তিনটি। তাতেই শেষ হয়নি তার ভেল্কি। এক ওভার মেডেনসহ রান দিয়েছেন ১৯।
এবারের আসরে পাঞ্জাবের এটি তৃতীয় জয়। ব্যাঙ্গালুরুর দ্বিতীয় পরাজয়। দুই দলই খেলেছে সমান সাতটি করে ম্যাচ।
এএ