আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিএনপি ভুল ধরা পার্টি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি ভুল ধরা পার্টি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি ও তাদের মিত্রদের টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেলেও জনগণের পাশে তারা নেই। বিএনপি শুধু ভুল ধরে নিজেরা কোনো কাজ করে না, তাই তাদের নাম দিয়েছি আমি ভুল ধরা পার্টি। বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শনিবার (১ মে) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিধিনিষেধ পরিস্থিতিতে খেটে-খাওয়া দিনমজুর ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা মাঝেমধ্যে ঢাকা শহরে প্রেসক্লাবের সামনে, নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য আর বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেখা যায়। অথবা ঘর থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সরকারের সমালোচনা করেন তারা। তাদেরকে সমগ্র বাংলাদেশের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এখন। আমরা কী কাজ করছি, সেটাতে কোনো ভুল আছে কি-না শুধু সেটা খুঁজে বেড়ায়। তারা শুধু ভুল ধরে নিজেরা কোনো কাজ করে না, তাই তাদের নাম দিয়েছি আমি ভুল ধরা পার্টি। এই ধরনের ভুল ধরা পার্টি রাঙ্গুনিয়ায়ও আছে। তাদেরকে এখন দেখা যাচ্ছে না, ভোট এলে দেখা যাবে, তখন তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে এতদিন কোথায় ছিল?

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে-খাওয়া ও মেহনতি মানুষের দল। গরিব মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, তাই আমাদের দল গরিব মানুষের কথা ভাবে। অনেকে গরিব মানুষের কথা ভাবে না। আমাদের দল এবং সরকার জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। অন্য কেউ নেই, তারা শুধু গলা ফাটায়। করোনার প্রথম ঢেউ যখন বাংলাদেশে আঘাত হানে তখন সরকারের পক্ষ থেকে সাত কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এর বাইরে অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ দিয়েছিল।

তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবার পূর্ব মহাদেশে আঘাত হেনেছে, ভারতের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। বাংলাদেশও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে মুক্ত থাকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। এই কারণে যারা প্রাত্যহিক উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল, দিনমজুর, খেটে-খাওয়া মানুষ, তাদের অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। সেই কথা বিবেচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে আবারও ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি যারা চাইতে পারে না তাদের জন্য বিশেষ টেলিফোন নম্বর চালু করে তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম দফায় যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন এই রাঙ্গুনিয়ায় হাজার হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। দ্বিতীয় দফায় আবার লকডাউন ঘোষণা করায় ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ দফায় এনএনকে ফাউন্ডেশন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের জন্য কিছু বরাদ্দ এসেছে, সেগুলো দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে জনগণের মাঝে বিতরণ করা হবে। সেখানেও রাঙ্গুনিয়ার ১১ হাজারের বেশি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্দেশ দিয়েছেন, জনগণের পাশে থাকার জন্য। সে কারণে সমগ্র বাংলাদেশে আমাদের দলের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে। সেই ধান আবার তাদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মরহুম অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করে। এ দিন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর, পদুয়া ও শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নের দুই হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ক্রমান্বয়ে ১০ হাজার পরিবারে এ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিএনপি | ভুল | ধরা | পার্টি | তথ্যমন্ত্রী