ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ঝড়বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় মারা গেছে অন্তত ছয়জন। মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টিতে কলকাতার সড়কে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টিপাত হয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, মঙ্গলবার কলকাতায় কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ভারি বৃষ্টিপাতে কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা হয়। এতে রাজভবনের সামনে জমে থাকা পানিতে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে একজন। ওই সড়কের ফুটপাতে থাকা বিদ্যুতের খুঁটির গোড়ায় বিদ্যুতের তার খোলা অবস্থায় ছিল বলে পুলিশের ধারণা। খোলা তারের সংস্পর্শে ওই ব্যক্তি মারা গেছে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া রাজ্যের তিন জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছে অন্তত পাঁচজন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে কলকাতা, শহরতলিসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঘণ্টা দুয়েক ঝড়বৃষ্টি হয়। এর জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় শহরের বিভিন্ন জায়গা। এসপ্ল্যানেড এলাকা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিটসহ বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যায়। কয়েক জায়গায় গাছপালাও ভেঙে পড়ে।
এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছে পাঁচজন। তাদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুঠিমারীতে মারা গেছে নাজির হোসেন নামে একজন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছে দুইজন। তাদের নাম সঞ্জয় প্রামাণিক ও শরিফ মুন্সি। হাওড়াতেও বজ্রপাতে মারা গেছে দুইজন। এদের একজনের নাম অশোক বিশ্বাস। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, ঝড়বৃষ্টিতে কলকাতার রাজ্য ভবনের উত্তর দিকের গেটের সামনে পানি জমে যায়। এ সময় হাইকোর্টের দিক থেকে ধর্মতলার দিকে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। হঠায়ৎ পানিতে পড়ে যান তিনি। তার সামনেই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল। সঙ্গে সঙ্গে হেয়ার স্ট্রিট থানায় খবর দেওয়া হলে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, ওই ফুটপাতের গায়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটি ছিল। তার গোড়ায় বিদ্যুতের তার খোলা অবস্থায় ছিল। কোনো কারণে খোলা তারের সংস্পর্শে যান ওই পথচারী। আর তাতেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, সেখানে কোনো তার খোলা ছিল না।
এসএন
