আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

এখন থেকে লকডাউনেও চলবে ট্রেন

এখন থেকে লকডাউনেও চলবে ট্রেন

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তারাঁয় আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষ বসে খেতে পারবে।

রোববার (২৩ মে) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তঃজেলাসহ সব গণপরিবহন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধানসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 

সোমবার (২৪ মে) থেকে ট্রেন চলাচল প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে শুরুতে ২৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এরপর ধীরে ধীরে পরিধি বাড়ানো হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার কারণে এক আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রি করা হবে। ৫০% শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি না করে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা আসার পর যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকারি নির্দেশনা আসা মাত্রই রেলওয়ে ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। তার আগে রেলপথের বিভিন্ন সেকশনে যাত্রীবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে (ট্রায়াল রান) পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) শাহাদাত আলী সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধ জারির পর গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে যে কোনো সময় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার জন্য। এরই অংশ হিসেবে ট্রেনগুলোর ট্রায়াল রান করা হচ্ছে নিয়মিত। নির্দেশনা পেলেই আমরা ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু করব।

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এরপর কয়েক দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২৩ মে পর্যন্ত।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এখন | লকডাউনেও | চলবে | ট্রেন