শীত চলে এসেছে তার প্রমাণ মিলেছে চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারে। কুয়াশা দিয়ে যেন চারিদিক ছেয়ে গেছে। তবে পিছিয়ে নেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ও। শীতের তীব্রতা সেখানে বেড়েই চলেছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণের জেলা মৌলভীবাজারে আকাশ রয়েছে মেঘলা। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে। সেই সঙ্গে পঞ্চগড়ে টানা চার দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারে বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের পর থেকে শীত নামবে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝিতে শীতের আগমন ঘটলেও এ বছর বৃষ্টি রয়েছে। মাস শেষে গড় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হবে। যা মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ে কয়েকদিন ধরেই শীতের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। সবুজ ঘাস, ধান ও চা-গাছের ডগায় ফোটায় ফোটায় শিশির কোণার দেখা মিলছে।
স্থানীয়রা জানায়, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পঞ্চগড়ে আগেভাগেই শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে থাকে প্রচণ্ড শীত। তবে ভাদ্র-আশ্বিনের পর শুরু হয় হেমন্ত। হেমন্ত যেন এক অপরূপ প্রকৃতির মুগ্ধকর অনুভূতি। শরতের শেষ ভাগে আশ্বিনের দমকা বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাস বয়ে নিয়ে আসে শীতের পরশ। এক দিকে শীতের পরশ, অন্য দিকে এ সময়ে উত্তরের পরিষ্কার নীল আকাশে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ দু’য়ে মিলে সময়টি হয়ে ওঠে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ বুধবার ভোর ৬টায় ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ অক্টোবর ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ অক্টোবর ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৫ অক্টোবর ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।