জাতীয় গ্রিডে আগামী জুনে আরো ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। সামিট গ্রুপের নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট পাওয়ার স্টেশন-২ থেকে তা সরবরাহ করা হবে। গ্রুপটির চেয়ারম্যান আজিজ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এইচ ই পিটার হাস বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সামিটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমেরিকান কোম্পানি জিই’র প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যৌথভাবে এ কোম্পানি গড়ে তোলা হয়েছে।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান জানান, আগামী বছরের জুনে সামিটের নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট পাওয়ার স্টেশন-২ থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। সর্বনিম্ন মূল্যে এ তা সরবরাহ করা হবে।
পিটার হাস বলেন, আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকব। শুধু গ্যাস, কয়লা বা ডিজেলভিত্তিক গতানুগতিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে নয়, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে আমাদের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমেরিকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাওয়ার সেক্টরের উন্নতিতে কাজ করছে। মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নতিতে সহায়তা করছে।
এদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চর সানাউল্লায় নির্মাণাধীন সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড-২ এবং উৎপাদনে থাকা মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন শেষে সিলেটে সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি দেখতে যান তিনি।
আজিজ খান বলেন, গত ১০ থেকে ১২ বছরে জিডিপি যে শতকরা ৭-৮ ভাগ উন্নতি হয়েছে, সেটা বিদ্যুতের কারণে হয়েছে। জিডিপির গ্রোথকে ধরে রাখতে চাইলে বিদ্যুতের প্রয়োজন। এ কেন্দ্রে গ্যাস থেকে ৬২ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। ফলে খরচ কম হবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাস, ডিজেল, হাইড্রোজেনে চলতে পারে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কার্বণ নিঃসরণ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৬০ ভাগ কম এবং অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪০ ভাগ কম।