ইতিহাস, পরিসংখ্যান সবই ভারতের পক্ষে। তাই বলে কি একপেশে লড়াই হবে? কখনোই না। বাংলাদেশ ছাড় দিতে চায় না একবিন্দু। কী হবে দুই দেশের মোকাবেলা এখন সবচেয়ে আকাঙ্খিত ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। উত্তরটা অজানা হলেও আরেকটি জমজমাট দ্বৈরথের অপেক্ষা। লড়াইটা দুই কোচের টিকে থাকারও।
দুই দলের দেখা মানেই অসম লড়াই । কিন্তু গত ক বছরে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই বাড়তি আকর্ষণ এ অঞ্চলের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য। র্যাঙ্কিংয়ে ভারত ১০৫-এ। বাংলাদেশ ৭৯ ধাপ পেছনে। আয়তনেও ২২ গুনেরও বড় প্রতিবেশি দেশটি। ফুটবল চর্চায় দু দলের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যে থাকলেও সাম্প্রতিক বিনিয়োগে অনেক এগিয়ে সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রিত সিং, আদিল খানদের দেশ। তাদের আছে শত কোটি টাকা মূল্যের আইএসএল।
২০১৯-এর ১৫ অক্টোবরকে যারা ভুলে গেছেন তাদের জন্য আসছে ৭ জুন। দিনটা কার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে সেটা ম্যাচ শেষেই বলা যাবে। তবে একটা জায়গায় দুই দেশের দারুণ মিল। জিততেই হবে সরাসরি এশিয়ান কাপে খেলতে। অন্যথায় প্লে অফের মারপ্যাচ।
দুই দলের কোচের লড়াইটাও হবে দেখার মত। তাদের টিকে থাকার সেরা পরীক্ষা এই ম্যাচ। বাংলাদেশ ট্যাকটিশিয়ান জেমি ডে সাড়ে তিন বছরের অভিজ্ঞতায় বিদায়ের ধ্বণি শুনতে পাচ্ছেন। বিপরিতে ইগর স্টিমাচ দুই বছরের ক্যারিয়ারে ভারতকে একটা জয় এনে দিতে না পারলে তার টিকে থাকাটাও কঠিন হবে। যতই থাকুক বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আর সমৃদ্ধ কোচিং ক্যারিয়ার।
ভারত জয়টাকে আরও বেশি করে খুঁজছে, কেননা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এমন একটা জয়ের জন্য তারা অপেক্ষা করছে ছয় বছর ধরে। ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাই যাত্রায় ২০১৫তে শেষ হাসি হেসেছিলো গুয়ামের বিপক্ষে। বাংলাদেশকে অবশ্য খুব বেশি পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। ২০২২ বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে শেষবার পূর্ণ পয়েন্ট পেয়েছিলো বাংলার বাঘ।
দুই দলের ২৭ দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৪টিতে। ১২ জয় ভারতের। ড্র হয়েছে ১১টি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের জয় সেই ১৯৮৫ সালে। দুই লেগেই ব্যবধান ২-১। তিন দেখার বাকিটি যে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে সাদ উদ্দিনের গোল আর পুরো দলের পারফরম্যান্সে।
এস