মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন হয়েছে সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার নিরুংকুশ পরাজয়। ফলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার গোলে আরেকটি অঘটনের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স বলে কথা! এক গোলে পিছিয়ে থাকা দলটি পর পর চারটি গোল দিয়ে বসলো সকারুদের জালে। তাতেই শুরুতে পিছিয়ে পড়েও বড় জয়ে উড়ন্ত সূচনা করলো দিদিয়ের দেশমের দল।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দোহার আল জানুব স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় এশিয়ার দল অস্ট্রেলিয়া। নবম মিনিটে ল্যাকির পাস থেকে বল পেয়ে জালে লক্ষ্যভেদ করেন গডউইন। এতে ফরাসিদের স্তব্ধ করে উল্লাসে ভাসে অস্ট্রেলিয়া শিবির। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি গ্রাহাম জেমস আর্নলডের অস্ট্রেলিয়া।
২৭ তম মিনিটে র্যািবিওট প্রথম গোল করে ফ্রান্সকে সমতা এনে দেন। কর্নার কিকের পাসে হার্নান্দেজ বল পেয়ে ক্রস করেন আবার ডি বক্সে। সেখানে থাকা র্যা বিওট দারুণ এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান। তার ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই লিড নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সে কাট ব্যাক করেন র্যা বিওট। সে বল পায়ের আলতো টোকায় ফাঁকা পোস্টে গোল দিতে ভুল করেননি জেরার্ড।
সমতায় ফিরতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়াও সুযোগ পায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে। ইরভাইনের শটে ফ্রান্সের ডি-বক্সে বল পান গডউইন। তবে তার কোনাকুনি হেড গিয়ে লাগে গোলবারে। ফলে আক্ষেপে পুড়তে হয় সকারুদের। তবে এমবাপ্পে গোল মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত ফ্রান্সের। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে থেকেই বিরতিতে যায় দেশমের শিষ্যরা।
বিরতি থেকে ফিরে ফ্রান্স আরও অপ্রতিরোধ্য গতিতে জ্বলে ওঠে। যার ফলে দ্রুত আরও লিড বাড়ায় তারা। প্রথমার্ধের ভুল এবার করেননি এমবাপ্পে। ৬৮ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণে ডান দিক থেকে উসমান দেম্বেলে ডি বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় বল পাঠান। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার দুই ডিফেন্ডারের মাঝে লাফিয়ে হেড করে বল জালে জড়ান পিএসজি এই তারকা ফরোয়ার্ড।