বলিউডের গণ্ডি পেড়িয়ে আজ হলিউডেও বেশ সফল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিক জোনাস আর মালতি ম্যারির সঙ্গে সুখে সংসার করছেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্যারিয়ারকেও এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নিক ঘরণী। কিছুদিন আগে ভারতে ফিরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অল্পদিনের সফরে এসে লখনউয়ের ইউনিসেফের অফিসেও ঢুঁ মেরে আসেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এই পর্যন্ত তো সব ঠিকই ছিল।
কিন্তু, এবার কি গ্ল্যামার দুনিয়াকে গুডবাই জানাবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া? স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘর সংসারে মন দেবেন বলিউড অভিনেত্রী? প্রিয়াঙ্কা তো শুধু একজন অভিনেত্রী নন, একাধারে তিনি যেমন সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত তেমনই আবার ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডারও বটে। কিছুদিন আগে যখন ভারতে এসেছিলেন তখন Ranveer Allahbadia-এর সঙ্গে একটি চ্যাট শোয়ে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই অবসরের পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
শোয়ের সঞ্চালককে প্রিয়াঙ্কা জানান, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব সুখী। ৩৫ টা বছর পার করার পর এখন অনেক ম্যাচিওর। পায়ের তলার মাটিও শক্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে আগের মতো আর ছুটতে চান না প্রিয়াঙ্কা। প্রতিটি পদক্ষেপের আগে ১০ বার বিষয়টি নিয়ে ভাবেন। তবে একটা সময় অবসর নেয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু, পরে মনে হয়েছে কাজকে তিনি বড্ড ভালোবাসেন।
এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। কথপোকথনের মাঝে শোয়ের সঞ্চালক Ranveer Allahbadia প্রিয়াঙ্কার কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে তার কি মনে হয় না তিনি যা অর্জন করেছেন সেটা অনেকেই করতে পারেননি। আর এটার পেছনে সংবাদমাধ্যমের একটা বিরাট অবদান রয়েছে। প্রথমে এই কথাটা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে বেশ খানিকটা বিব্রত করে।
এরপর সঞ্চালক বিষয়টি ব্যখ্যা করেছেন যে নির্দিষ্ট সময়ের পর তার নিজের অবসর নেয়ার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। ঠিক সেই ভাবেই প্রিয়াঙ্কাও সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে পরিবারে সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটাবেন।
সঞ্চালকের এই কথা শুনেই প্রিয়াঙ্কা উত্তরে জানান, কিছুদিন আগে পরিবারের সঙ্গে সি-বিচে সময় কাটিয়েছেন। ফোনের সুইচ অফ করে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনেই ফোকাস করেছিলেন অভিনেত্রী। ট্রিপ শেষের পর মনে হয়েছিল এবার কাজে মন দেওয়া উচিত।
কোয়ান্টিকো গার্ল কর্ম জগৎ সম্বন্ধে কথা বলতে গিয়ে জানান, বয়স যখন অল্প থাকে তখন একসঙ্গে চার-পাঁচটা ছবির কাজ হাতে নেয়া যায়। দিনরাত এক করে শ্যুটিং করা কোনও ব্যপার নয়। স্নান-খাওয়া ভুলে যে কাজটা জেন ওয়াই করতে পারে একটা সময় পর সেটা সম্ভব হয় না।
ব্যক্তিগত জীবন আর কর্মজীবনের মধ্যে ব্যালেন্স করা জরুরি একটি বিষয়। তবুও সবদিক ম্যানেজ করে জীবনে এগিয়ে যাওয়াটাই তার মূল লক্ষ্য। আগামী প্রজন্মও যাতে উৎসাহ নিয়ে কাজ করে সেই কথাই বলেছেন নিক ঘরণী। প্রিয়াঙ্কাকে দেখে সঞ্চালকের এটাই মনে হয়েছে যে কয়েক বছর আগেও কাজের মধ্যে যে উদ্দিপনা ছিল তা আজও তা একই রকম রয়েছে।