চলতি বছরের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম ছোট দেশগুলোর একটি কাতারে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া ইভেন্ট উপভোগে সারা বিশ্বের নজর এখন এই দেশটিতে।
জাঁকজমক এই আয়োজনে মানুষকে মাতিয়ে রাখলেও বিশ্বকাপের মধ্যে কাতার বেশ সুচারু ভাবেই আরও একটি কাজ করছে। আর তা হচ্ছে ইসলাম প্রচার। অর্থাৎ ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগে সারা বিশ্ব থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে হাজির হওয়া দর্শক ও পর্যটকদের ইসলামকে জানার সুযোগ করে দিচ্ছে কাতার।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এবং পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহার কাতারা কালচারাল ভিলেজ মসজিদটি এখন বিশ্বকাপ ভক্তদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মূলত বিশ্বকাপ উপভোগে কাতারে যাওয়া পর্যটকদের যারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান, তারাই সেখানে ভিড় করছেন।
এমনকি এই মসজিদটিতে বহু ভাষায় দক্ষ পুরুষ ও নারী ইসলাম প্রচারককে রাখা হয়েছে। এসব বহুভাষী প্রচারক পর্যটকদের কাছে ইসলাম ধর্ম, এর সৌন্দর্য ও সহনশীলতা ব্যাখ্যা করছেন।
এছাড়া কাতারা কালচারাল ভিলেজ মসজিদের দরজায় বহু সংখ্যক বৈদ্যুতিক বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এসব ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে ৩০টিরও বেশি ভাষায় ইসলাম সম্পর্কে নানা তথ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পর্যটকদের মধ্যে যারা চাচ্ছেন তাদের কাছে বিভিন্ন ভাষায় ইসলাম ধর্মের পরিচিতিমূলক বই-পুস্তিকা বিতরণ করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, চলমান ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই কাতারের আওকাফ এবং ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি প্যাভিলিয়ন চালু করেছে। সেখানে ইসলাম ধর্মের পরিচিতি এবং ইসলামের শিক্ষাগুলো তুলে ধরা হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বকাপ উপভোগে কাতারে যাওয়া ফুটবল ভক্ত ও পর্যটকরা মহানবী (সা.)-এর নানা হাদিসও পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কাতারজুড়ে বহু রাস্তার আশপাশে এবং দেয়ালে ইসলামে ভালো কাজের গুরুত্ব বর্ণনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গেলো রোববার কাতারের আল খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল মাসকট, লা’ইব। আরবি শব্দের এই নামটির অর্থ সুপার-স্কিলড প্লেয়ার।