আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

উদ্বোধনের আগেই মরণ ফাঁদ

উদ্বোধনের আগেই মরণ ফাঁদ

টাঙ্গাইলে চার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজের উভয় পাশের এ্যাপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজটি নির্মিত হওয়ায় অল্প দিনেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটির এ্যাপ্রোচের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন।  এক বছর আগে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। তার আগেই ব্রিজটির দুই পাশের এ্যাপ্রোচে মাটি সরে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, ব্রিজটির দক্ষিণ পাশের এ্যাপ্রোচের পূর্ব পাশে প্রায় ১০ ফিট অংশের মাটি সরে গেছে। অপর দিকে উত্তর পাশের এ্যাপ্রোচের দুই দিকে ১২ ফিট করে মাটি সরে গেছে। এ ছাড়াও ব্রিজের উভয় প্রান্তের সীমানা পিলারগুলো পড়ে আছে। দিনের বেলা পথচারীরা স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করলেও রাতে দুর্ঘটনার আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়। এর আগে দক্ষিণ প্রান্তের এপ্রোচে প্রায় ১৫ ফিট অংশে থেকে মাটি ও কার্পেটিং সরে গেলে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে সেটি ঢালাই করে ভরাট করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন জানান, এ ব্রিজ দিয়ে আশে পাশের ১৫ এলাকার লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করে। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ব্রীজটির এ্যাপ্রোচ ও পিলার উদ্বোধনের আগেই ধ্বসে গেছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী বলেন, ব্রিজটি পরিদর্শনের পর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলজিইডির প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী সৈয়দ শাহিন বলেন, বৃষ্টি হলে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ব্রিজের কোন ক্ষতি হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী একেএম হেদায়েত উল্ল্যাহ্ বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন উদ্বোধনের | আগেই | মরণ | ফাঁদ