পৌষের শুরু থেকে তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরের জনপথ। উত্তরের জনপথ কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে এ অ লের নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় থেমে নেই তাদের কর্মযজ্ঞ। পৌষের সকালে শিশির ভেজা ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডার মাঝেও জীবিকার সন্ধানে খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই তীব্র ঠান্ডায় কাজে যেতে পারেনি। ফলে হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় বাড়ীতে অলস সময় পাড় করার পাশাপাশি খর-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা খেটে খাওয়া সাধারণ কর্মজীবী মানুষ।
আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারদিক। ফলে জরুরী প্রয়োজনে হেড লাইট জ¦ালিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে।
শীতের তীব্রতায় সব থেকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। এমতাবস্থায় ডিসেম্বর মাসের শেষের কয়েকদিন ও নতুন বছরের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহের শুরতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে আশংকা করছেন আবহাওয়া অফিস।
ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুষাফেরুষা এলাকার দিন বাবলু চন্দ্র রায় জানান, তীব্র ঠান্ডায় থাকলেও ঘরে বসে থাকলেতো আমার পেট চলবে না। কাজ না গেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে। তাই শীতের মাঝেও বাধ্য হয়ে কাজে বেড়িয়েছি।
নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী এলাকার দিনমজুর সবুজ মিয়া ও তার ছেলে সেলিম মিয়া বলেন, গেলো দুই দিন ঘনকুয়াশা ও হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় দেখা দেওয়ায় আমরা বাপ-ছেলে কাজে যেতে পারেনি। তবে তারা বাপ-ছেলেসহ পরিবারের সবাই মিলে খর-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, আজ সকাল ৯ টায় জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি। সেই সাথে চলতি মাসের শেষের দিকে ও জানুয়ারির শুরুতে দেশের উত্তরের জনপথে মৃদু অথবা মাঝারী মৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।