আর্কাইভ থেকে এশিয়া

চীনে ধূলিঝড়ে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ ও পশুপাখি

চীনে ধূলিঝড়ে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ ও পশুপাখি

চীনে মরু অঞ্চল থেকে আসা ধূলিঝড়ে নষ্ট হচ্ছে, হাজার হাজার একর জমির ফসল। প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ, মরছে পশু-পাখিও। সমাধানে বনায়নের পথে হাঁটছে দেশটি। একইসাথে কয়লার বদলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে পানি, বায়ু ও সৌরশক্তির ব্যবহারে।
 
চীনের মোট আয়তনের ২৭ শতাংশই মরু অঞ্চল। যার বড় একটি অংশ গোবি মরুভূমি। এর ধূলিঝড়ে প্রতিবছর প্রাণ হারান শত শত মানুষ। মারা যায়, বিরল পশু-পাখি। তাই গোবী মরুভূমিকে কেউ কেউ বলেন 'ধূলা দৈত্য'।

হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এই ধূলা ঝড়ের তোপে পড়ে রাজধানী বেইজিংও। মরু সংলগ্ন এলাকায় হাজার হাজার একর ফসলি জমি ছেয়ে যায় ধূলার আস্তরণে। দেশটিতে চাষ উপযোগী জমি, মোট ভূমির মাত্র ১২ শতাংশ।
 
যা দেখছেন সবই ফসলী জমি। ধূলিঝড়ের আগ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিলো, পরে ঝড়ের তান্ডবে সব ফসল ধূলায় চাপা পড়ে যায়।

একবার এই ঝড় শুরু হলে কখন থামবে কেউ বলতে পারেনা। তখন জীবন বাচানোই বড় চ্যালেন্জ হয়ে দাড়ায়।

এমন পরিস্থিতিতে বনায়নে জোর দিয়েছে চীন। আছে কার্বন নিঃসরণ কমানোর নানা পরিকল্পনাও। যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পানি, বায়ু আর সৌরশক্তিকে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বছরে ৫ লাখ টন কয়লা সাশ্রয় হবে। কার্বন নিঃসরণ কমবে এক দশমিক ২২ মিলিয়ন মেট্রিক টন।

চীনের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃক্ষরোপন জোরদার করা হয়েছে। ঐতিহ্যের মহাপ্রাচীরের মতোই এবার গ্রিন ওয়াল নির্মাণে কাজ করছি। সাথে কার্বন নিঃসরণেও মনোযোগ দেয়া হচ্ছে।

২০৩০ এর আগে কার্বন নিঃসরণ কমানোর তালিকায় শীর্ষে যেতে চীন। পরের ৩০ বছরের লক্ষ্যমাত্রা 'কার্বন নিরপেক্ষতার' খেতাব।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চীনে | ধূলিঝড়ে | প্রাণ | হারাচ্ছে | মানুষ | ও | পশুপাখি