দেশের সর্ব উত্তরের শীত প্রবন জেলা পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সন্ধ্যা নামার আগ থেকে পর দিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় থাকে সমগ্র এলাকা রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো ঝড়ছে কুয়াশা।
এদিকে তীব্র শীতে দুভোর্গে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষজন। সরকারি ভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৩১ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরো শীতবস্ত্রের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে একই দিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি জানুয়ারি মাসে আরো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান,ঘন্টায় ৪-৫ কিলোমিটার বেগে হিম শিতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে। ঘনুয়াশার কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলো সাবধানে চলাচল করছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ে ৮ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠা-নামা করছে। হিমালয়ের কাছাকাছি পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত হয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।