মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমের দাফন হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাপস কান্তি জানান, আজ রোববার (২৭জুন) দুপুর ১২টার দিকে জেয়াদ আল মালুমের মরদেহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে সিপিবি কার্যালয়ে। বেলা দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
জেয়াদ আল মালুম নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন থেকেই তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
গত ২৫ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে জেয়াদ আল মালুমকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ২ জুন তাঁকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান জেয়াদ আল মালুমে। সেই থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জেয়াদ আল মালুম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
মুক্তা মাহমুদ