সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় সাইফুল ইসলাম দুলাল নামে পঞ্চগড়ের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার (২৫ জানুয়ারী) পঞ্চগড় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান মণ্ডলের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটক সাইফুল ইসলাম দুলাল পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৮ নং ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। মামলার অপর আসামীরা হলেন- জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের মেয়ে মোছা. ইয়াসমিন (২১), একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমী আক্তার (২৮), ইয়াসমিনের স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল (২৮) এবং তার ভাই সাইদুর রহমান (২৪)।
তারা প্রত্যেকেই জামিনে রয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান।
মামলার এজহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর পঞ্চগড়ে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় ইয়াসমিন এবং মৌসুমী উত্তীর্ণ হন। নিয়ম অনুযায়ী তারা ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে। কিন্তু তাদের কথা বার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পায়।
এক পর্যায়ে তাদের লিখতে দেয়া হয় কিন্তু লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের লেখার মিল না থাকায় নিয়োগ বোর্ডের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করেন তাদের হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। এজহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার ভাই সাইদুর রহমান এবং স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করাতে সহায়তা করেছেন বলে নিয়োগ বোর্ডের কাছে স্বীকারোক্তি দেন।
পরে কর্তৃপক্ষ ভাইবা বোর্ড কৌশলে সাইদুর এবং মাসুদ রয়েলকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ইয়াসমিনের চাকরির জন্য পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাইফুল ইসলাম দুলালের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয় । পরে এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাইফুল ইসলাম দুলাল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।