ঢাকা সফরে আসা মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে। আসল নেতারা হাসপাতালে। পাতি নেতারা বলছে সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবে। আন্দোলনের সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কথা বলে নদীর ঢেউও তুলতে পারলো না। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫৪ দলের মধ্যে ৫৪ মতে বিভক্ত। হতাশায় বিএনপির বাজার ভেঙে যাচ্ছে, বিএনপির জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার হটানো দূরাশার বাণী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা ভুলে যান। আইন দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। বিএনপির অস্বাভাবিক আবদার পূরণে সাপোর্ট না দেওয়ার কারণেই তারা এই নির্বাচন কমিশন চায় না।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে সেটা আমরা জানি। যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য টাকা দিচ্ছে তাদের খবর আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ৫৪ দল, ৫৪ মত, ৫৪ পথ। ফখরুল নেই, মির্জা আব্বাস হাসপাতালে এখনো পাতি নেতারা কথা বলছে। এক পাতি নেতা বলেছে, সরকার হটাবেন আন্দোলনের সুনামী দিয়ে। হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল। আন্দোলন করলেন ১৫ বছর ধরে, আন্দোলনে নদীর ঢেউ পেলাম না। সাগরের উত্তাল তরঙ্গ তো দেখিনি। যারা ঢেউ বানাতে পারেনি রাজপথে, এখন সেই আন্দোলনেও মানবিকতা চেয়ে কতদিন টিকবে বলা মুশকিল। আন্দোলনের ঘরে এখন আবার হতাশা নেমে এসেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সরকারের পরিবর্তন যদি চান নির্বাচনে আসুন। আমরা যারা সরকারে আছি, এই সরকার হবে রুটিন সরকার। এই সরকার নির্বাচনের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবে না। হোম মিনিস্টারের যে কাজ সেই কাজ তখন নির্বাচন কমিশন করবে। পুলিশের লোকজনকে ট্রান্সফার, প্রমোশন দেওয়া, এসব কাজ তখন হোম মিনিস্টার করবে না, করবে নির্বাচন কমিশন।